অর্থ পাচার মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেওয়া সাত বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমিত দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে দণ্ড স্থগিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একই সাথে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মামলার সারসংক্ষেপ আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে।

একই মামলায় ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সাত বছরের সাজাও স্থগিত করা হয়েছে।

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বড় সন্তান তারেক রহমান বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার ইমেজকে ক্ষুণ্ন করার জন্য সাত বছরের সাজা দিলেন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসায়। আজকে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আজকে আমাদের লিভ দিয়েছেন (আপিলের জন্য অনুমতি)। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দুদক ও আমাদেরকে আপিলের সার সংক্ষেপ দিতে বলেছেন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, সাত বছরের দণ্ড স্থগিত করেছেন। এই মামলায় দুইজন আসামি,দুইজনের ক্ষেত্রে সাজা স্থগিত করা হয়েছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যে কয়টি দুর্নীতির মামলা হয় তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত অর্থ পাচারের এই মামলাটি। এই মামলায় বিচারিক আদালতে খালাস পান তারেক রহমান। যে বিচারক এই মামলায় তাকে খালাস দেন ওই বিচারককে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়।

পরে এই খালাসের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন। এখানে এসে তারেক রহমানকে দেওয়া হয় সাত বছরের কারাদণ্ড ও বিশ কোটি টাকা জরিমানা।

৫ই আগস্টের পর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর এই মামলায় খালাসের আবেদন করেন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও তারেক রহমান। মঙ্গলবার যার শুনানি হয় আপিল বিভাগে। শুনানি শেষে দুইজনেরই সাজার রায় স্থগিত করে সর্বোচ্চ আদালত।

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মোট ৮৪ টি মামলা হয়। এর মধ্যে অধিকাংশ মামলায় বাতিল হয়েছে বিভিন্ন আদালতে। দণ্ড হওয়া আরো তিন মামলা এখনো বিচারাধীন রয়েছে। সব মামলা আইনি প্রক্রিয়ায় নিষ্পত্তি শেষে যথাসময়ে দেশে ফিরবেন তিনি, জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।